বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন
হায়দার হাওলাদার নিজস্ব প্রতিবেদক
বরগুনার তালতলীতে উপজাতি (রাখাইন) নোথা অং হত্যা মামলার আসামি শহিদুল ডাক্তার সহ সকল খুনিদের দ্র্ত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে উপজাতী রাখাইন জনগোষ্ঠী সহ স্থানীয় বাঙ্গালীরা।
আজ শনিবার সকাল ১০টায় (২৮অক্টোবর) তালতলী উপজেলার তাঁতীপাড়া বাজারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,নোথা অং হত্যা মামলার বাদী জোওয়েন জয়, রাখাইন সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মংচিন থান,খেচিং মং এবং মং থান চো। এ সময় বক্তারা বলেন,নোথা অং কে জমির জন্য নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা মামলার ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত সিআইডি চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়নি।এদিকে মামলার অন্যতম আসামী শহিদুল ডাক্তার জামিনে বেড়িয়ে আমাদের বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, রাখাইন সম্প্রদায়ের ভুমি গ্রাস করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল রাখাইন সম্প্রদায়ের সদস্যদের হত্যা-সহ নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করে তাঁদের জমি থেকে বিতাড়িত করছে। রাখাইনদের সমাধি ও ফসলি জমি জাল-জালিয়াতি করে দখল করে নিচ্ছে। ফলে নিঃস্ব অনেক আদিবাসী রাখাইন সদস্য পরিবার নিয়ে নীরবে দেশ ছেড়েছেন। এখনো যাঁরা পিতৃভিটা আঁকড়ে আছেন, তাঁরাও চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছেন। নোথা অংয়ের এই হত্যাকান্ডের পর রাখাইনদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শহীদুল ডাক্তার সহ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার করা হলেও জামিনে বের হয়ে শহিদুল ডাক্তার গংরা আবারও রাখাইনদের জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে ।হত্যা মামলার আসামিদের দ্রত বিচার না হলে আদিবাসীদের সম্পত্তি ও জীবনের নিরাপত্তা বিধান করা অসম্ভব।
উল্লেখ্য, গত ২০১৭ সালের ২২ জুন তালতলী উপজেলার নামিশেপাড়া থেকে রাখাইন বৃদ্ধ নোথা অংয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে তালতলী থানা পুলিশ।ঘটনার দুইদিন পর ২৪ জুন তাঁর আত্মীয় জোওয়েন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে ও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে তালতলী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে আদালত এ মামলা তদন্তের জন্য সিআইডি পুলিশকে দায়িত্ব প্রদান করেন। সিআইডি পুলিশ পরবর্তীতে অজানা কারণে ৬ বছর পার হলেও সিআইডি এখনো চুরান্ত প্রতিবেদন দেয়নি। তাই আমাদের দাবী দ্রুত পুলিশ প্রতিবেদন আদালতে দিয়ে আসামীদের কঠোর শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
এবিষয়ে সিআইডি’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় একটু সময় হয়েছে।আরো পরিচ্ছন্ন তদন্ত করে ঘটনার সাথে জরিতদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র তৈরি করে দ্রুত আদালতে দাখিল করা হবে।